পোস্ট বার দেখা হয়েছে
![]() |
অঙ্কন : শহীদুল হক বাদল |
স্মৃতিপটে তিলোত্তমা কলকাতা
শান্তি দাস
স্মৃতিতে কিছু মন ভরা স্মৃতি সাড়া জাগে মনে,
কত পরিবর্তন কত ভাঙ্গে গড়ে এই শহরের সনে।
সব কিছু নিয়েই তিলোত্তমা নগরী বেঁচে আছে আবহমান,
আমার স্মৃতিপটে ও আনন্দ নগরী কলকাতা বহমান।
কত টুকরো স্মৃতি আমার মনে এই মহানগরী ঘিরে,
ইউনিভার্সিটি পড়ার সময়ের এই কলকাতা আসে ফিরে ফিরে।
কলকাতার স্মৃতি জড়িয়ে আছে ভালো লাগার মুগ্ধতা,
দিনের কলকাতা আর রাতের তার মধ্যে কত ভিন্নতা।
এক অদ্ভুদ স্মৃতি মায়াবী নগর মানুষের সুখ দুঃখ হাসি কান্নায় আগলে রাখা,
কলকাতার রাস্তায় চলতে চলতে অনুভব করেছি আজও মনে থাকা।
বন্ধুদের সাথে বেলুর মঠ যাওয়া গঙ্গার পাড়ে বসে আড্ডার মজা,
কলেজ স্ট্রীটের বইয়ের গন্ধ, ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ফুসকা খাওয়া যেন আমরাই রাজা।
ইট পাথরের গড়া বিরাট শহর প্রাণহীন শহরের প্রাণ,
তিলোত্তমা শহর কলকাতা এই শহর বেঁচে থাকুক গাইবো জয়গান।
তিল তিল করে গড়ে উঠা এই শহর সৌন্দর্যে তিলোত্তমা,
বিশ্বকর্মা যেন সুনিপুণ ভাবে সাজিয়ে তুলেছেন এই শহর রমরমা।
আজ ও স্মৃতিপটে এই সুন্দরী মহানগরীর কত দৃশ্য নবরূপে সৃষ্টি,
এই শহর তিল তিল করে গড়ে তোলা অপরূপা ঐতিহ্যের কৃষ্টি।
কবে ফিরবে তিলোত্তমা সেই পুরনো গন্ধে ছন্দে,
তোমাতে আমাতে দেখা হবে ফের আগের ভালোমন্দে।
====
ভালো আছি
শরিফ মাহমুদ
আমি একলা মানুষ ভালোই আছি,
নাই কোন ব্যথা।
আমি নিজের সাথে গল্প করি,
নিজেই শুনি কথা।
মনটা আমার চলে এখন
নিজের মত করে।
যখন যেথায় ইচ্ছে করে,
তখন সেথায় ঘোরে।
দেখতে হয় না এখন তো আর
কারো অভিমান।।
বুঝতে হয়না এখন আর
ভালোবাসার অভিধান।।
মনটা আমার নাইতো আর
কারো সাথে গাঁথা।।
কারো জন্য ঝরায় না বৃষ্টি
নয়নের পাতা।
![]() |
অঙ্কন : শহীদুল হক বাদল |
..পূর্ণচ্ছেদ..
অমিত পান্ডা
দেখাে আকাশের দিকে,
কাক নেই আর।
মাটির দিকে,
কুকুর নেই আর।
রাত নেই আর
দিন হয়ে গেছে।
মনে হয় বিবর্তন!
পুনরায় প্রত্যাবর্তন?
না!
প্রাকৃতিক সৃষ্টির কল্যাণময়,
কৃতিমতায় হয়েছে ব্যঞ্জনময়।
ব্যঙ্গবিদ্রুপও বলতে পারাে।।
====
নবান্ন দুয়ারে
অমল কুমার ব্যানার্জী
নবান্ন দুয়ারে অন্ন নাই ঘরে,
নূতনের আগমন কই ?
পুরাতন, সে তো বহু দূরে।
নবান্নের দিনে নূতন অন্নের সাথে
শুরু হয় নবীনের আরাধনা,
ছেলেপুলে সব বহু আশা করে,
নবান্ন এসেছে ঘরে?
চাষীদের নবান্ন আজও সুদূরে,
নূতন ধান ঝাড়া হল,
মহাজন বসে আছে গাড়ি নিয়ে।
ঝাড়া ধান বস্তা ভরে গাড়িতে বোঝাই হল,
টাটা বাই বাই, বিদায় নিল নূতন ফসল,
আড়তে গিয়ে জনসেবা হবে মহার্ঘ্য দামে।
যৎসামান্য ঝাড়াঝুড়ি যা ছিল তাই দিয়ে
হবে তোর নবান্ন আজ।
গরিবের ঘরে থাকে না সে,
থাক মহাসুখে দুলালি আমার,
মহাজন ঘরে।
4 মন্তব্যসমূহ
উত্তরমুছুনঅপূর্ব ভাবনায় প্রতিটি লেখা অসাধারণ
অসামান্য অঙ্কন
ধন্যবাদ দর্পণ ই পত্রিকা কে, এতো সুন্দর সুযোগ দেওয়ার জন্য
উত্তরমুছুনকবিতা গুলি হৃদয় ছুঁয়ে গেল।
উত্তরমুছুনচারটি কবিতা বিশেষে ভাবে আকৃষ্ট করে।
শাস্তি দাসের সৃষ্টপটে তিলোত্তমা কলকাতা, মাহমুদ সাহেবের ভালো আছি,
অমিত জীর পূর্ণচ্ছেদ খুবই ভালো লাগল।
আমার কবিতা "নবান্ন দুয়ারে" প্রকাশিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সম্পাদক মহাশয় ও সমস্ত কুশীলবদের।
Darun laglo.....❤️❤️❤️❤️❤️
উত্তরমুছুন