কবিতা গুচ্ছ ~ রুম্পা চ্যাটার্জী




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

নির্জনতার সমাজবোধ: জীবনানন্দ দাশ 


এক নিরালায় হেঁটে যান কবি ধুলোমাখা পথ,

পেছনে পড়ে থাকে শহুরে শব্দ

নৈঃশব্দের মাঝে বলে চলেছেন প্রতিশ্রুতির কাহিনী।

চাঁদের আলোয় খুঁজেছেন রক্তাক্ত ভোর,

নির্বাসিত জীবনে এঁকেছেন শান্তির স্বর।

জন্মেছিলেন রূপসী বাংলার মাটি ছুঁয়ে,

পাণ্ডুলিপি লিখে গেছেন নিঃসঙ্গতায় বুঁদ হয়ে।

প্রকৃতির সাথে সমাজও ছিলো তাঁর কবিতার বাণী,

চাকরির ক্লান্তি,দুর্দশার গল্প, জীবনের গ্লানি।

একাকীত্বের মাঝেও যেন বাঁচার ইঙ্গিত,

কল্পনায় আঁকেন কবি বিশ্বাসের সঙ্গীত।

জীবনের রূপ, মৃত্যুর গান,

পেয়েছিলেন চেতনার অমোঘ সন্ধান।

একাধারে কবি আর মানবতাবাদী,

সমাজের আয়নায় দেখেছেন জীবন কাব্য ধ্রুপদী।


জীবনানন্দ,তুমি নিঃসঙ্গতার এক দীপ্ত গাঁথা,

তোমাতেই জেগে থাকে যুগের প্রতিধ্বনির কথা।

====

জলসা 


মালকোষে সুর ধরলো আকাশ

মেঘ বাজালো ঢোলক,

সুন্দরী চাঁদ নাচতে নাচতে 

হারালো তার নোলক।

রাগ কেদারে সেতার বাজায় 

রাশভারী নীল পাহাড়,

ঝর্নাধারার সঙ্গতে কি

লয় লহরীর বাহার!

ললিত রাগে উদাস হয়ে

খেয়াল ধরলো বৃষ্টি,

সবার মনে আনন্দেরই 

করলো দারুণ সৃষ্টি।

শেষ শিল্পী নদী ধরলো 

বাঁশিতে যোগ রাগ

রাত্রিশেষের আকাশ জুড়ে

নানান রঙের ফাগ।

ছড়িয়ে আলো সূর্য ওঠে

মুখভরা তার হাসি,

কান পেতে সে শুনতে থাকে

নদীর মধুর বাঁশি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ