কবিতা গুচ্ছ ~ আশা মন্ডল




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

ভ্রমের ভ্রমণে 


ভ্রমণার্থীর জন্য সাগরের অপেক্ষা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম;

বাতাসের ছোঁয়া লাগা স্রোতের অস্থির আঁচল আমাকে ভিজিয়ে যাচ্ছিল অনবরত।

গোটা আকাশে তখন অভিমান ভঙ্গের খেলা!

চোখ থেকে একফোঁটা জল পড়তেই মেঘ আলতো আদর করে গেল,

তুমিও আলিঙ্গন করলে;

বর্ষা,বসন্তের সমাহারে অপরূপা ক্রন্দসী একমুঠো তারার মুক্তো ছড়িয়ে দিতেই,

আমি স্থিরতায় সময়ের গতিবেগ বাড়িয়ে দিতে চাইলাম,

এই মুহূর্তই হোক শেষ মুহূর্ত !

স্রোতের টানে বালির আকর্ষণে আমার দুই পা তখন নিম্নগামী;

চোখে ভাসছে কেবল মৃত্যু এবং মুক্তির সঙ্গীত!

সহসা ঘোর ভাঙলো;

দেখলাম- তুমি এক আকাশ প্রশ্ন নিয়ে আমার হাত তখনও শক্ত করে ধরে আছো!

=====

 দীক্ষা যাপন


নদীর নিস্তব্ধ ভাষায় মন দিয়েছি সম্প্রতি;

যে ভাষায় কোনো শব্দ নেই,

কোনো কথা নেই;

আছে শুধু অস্তিত্ব প্রমাণের জোয়ার,

উদ্দেশ্যের অভিমুখে ছুটে চলার অস্থৈর্য।

অবাধ্য পাষাণেরও মাথা নত হয়  সেই নীরবতায়;

তবে স্রোতের প্রাবল্য সমান রাখতে হয় বৈকি!


উৎস থেকে মোহনা অবধি,  

কে বলে নদী বইছে একা একা!

ঐ যে ঝাউবনের ছায়াসেতু-

তাকে ধরে,

উপত্যকার গভীরতা ছুঁয়ে,

পাহাড়ের আদর পেতে পেতে,

কখনও ঝর্ণার গান গায়, 

কখনও আপোশের ভাঁটায় মাথা নোয়ায়;


অশ্রু,বৃষ্টি,তুষার সব মিলে মিশে একাকার গোপন ব্যথার গর্ভে;

অবমাননার জীবাশ্ম সঞ্চয় করে সাগরের ডাক শোনে;

তবু থামে না!

কারুণ্যের নুড়ি কুড়িয়ে,

নদীর কাহিনী ধরে,

আমিও লিখে যেতে চাই,

এক নতুন 'সঞ্চয়িতা'র ইতিহাস,

নদীর সেই শাশ্বত দীক্ষায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ