দুইটি কবিতা || দেবযানী সেনগুপ্ত




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

বর্ষার আনন্দ 


ঝমঝমঝম বৃষ্টিতে,

ছপছপ হাঁটি, 

ডুবডুব ডুব দিয়েছে ,

সূর্য্য এখন ঘুমের দেশে।

ঘাসের মাথায় জল,

নদী ডাকে ভীষণ বেগে, 

স্রোতের টানে যায় যে ভেসে,

জল থই থই মাঠ ঘাট ।

 চলছে সেথায়ে ডুব সাঁতার, 

পাড়ার ছেলে জটলা করে

বর্ষার  আনন্দ  আহা কি বাহার !

জলেই খেলি জলেই চলি ।

জল জল জল জলাধার, 

অতি জলি হাহাকার, 

তবুও  করে ঝাঁপাই ঝোড়ে,

পদ্ম পুকুরে স্নানঘাটে।

কালো জলে ভাসল হৃদয়ে, 

মেঘের কালো  ভয় জাগায়ে,

বর্ষার  আনন্দ  কমে না তাতে।

নৌকা ভাসিয়ে  লাফিয়ে  ওঠে।

====

 রাতের রজনীগন্ধা 


 রাতের অন্ধকারে অচেনা পথে,

কালো ভেজা রাস্তা ধরে,

শেষে  বাসে যাত্রী নেই,

একা হেঁটে  চলে।

চকমকে পোশাকে,

গাঢ় রঙে ঠোঁট  রাঙিয়ে, 

একা হেঁটে চলে  রাতের রজনীগন্ধা, 

অভাবের  সংসারে ঐই একজন ই আনন্দ আনে ,

বৃষ্টি ভেজা কুচকুচে কালো রাস্তা, 

নিকষ নিঝুম  রাতে ,ভয়হীনা ,

পাশ দিয়ে  চলে যায়  একটা কি দুটো  গাড়ি, 

কেউ  যদি থামে ! দাম দিয়ে  যায়!

 বৃষ্টি ভেজা  রাতে , রাতের রজনীগন্ধা  চলে একা,

অভাব কুন্ডুলি  পাকিয়ে শুয়ে, 

কখনও  পিছনে তাড়া করে,

অসহায় রাতের রজনীগন্ধা  একা চলে।

ফাঁকা  রাস্তায়  অভাব দারিদ্র্যের  সঙ্গে সংগ্রামের  তাড়নায়,

 সদ্য কিশোরী  রাতের অন্ধকারে অচেনা ছায়ায় পথে। 

কালো ভিজে পথে শেষ বাস ও চলে গেছে। 

চকচকে  ভিজে কালো পিচ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়,

রাতের  রজনীগন্ধা ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ