কবিতা গুচ্ছ || গায়ত্রী ভাদুড়ী




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

মেহফিল


এরিকা দোলা মৃত উদ্যান

সোনালী আলো গেলা রাতের ক্রেয়ন ছুঁয়ে

নিটোল বেলজিয়ামে স্ফটিক তুমি

মাথা তোলা আলেকজান্দ্রিয়ান নিভে যাবে

কশেরুকায় রোদ আগলে দিচ্ছো বন্য নিষাদে।ইহকালের ধূলোজমা আম্রোপালী 

ছাউনি।

জালবিষাদী মহানগরীর হাত ধরেই 

মশলার ঝাঁঝে জলুয়া রোদ হও। 

আঙুলের সংলাপ ফুরিয়ে পাজল সরাই,

খোয়াবের পাঠশালাতে মেহেরু চা বোনা বিকেলে জরাও ঊর্বশী চাঁদ,জোছনা টপকে টপকে রসুনখোলার পাখনায় ভারী মার্কারি ভরো সম্ভাব্য।বেদুইন সেতার চোখ বোজা ধাতস্ত সঙ্গীত পাড়ায় মাখি ধিকি ধিকি তুষের আগুন ধাঁধা।

বোঝো কী হে মহাকাল?

=====

নীল বিলাপের আস্তরণ


ফুলহাতা টি শার্টের জটায়ূরেখা

তাতে জলহীন প্রতীক্ষার পাঁচিল 

দেবার প্রলোভনে মিশরের ঝিল।

পেড়িয়ে আসা দোতারায় হরিণবিলাপ

মগ্ন মালতীর সুপ্রাচীন শ্বাসকষ্টে 

অগণিত ডালপালার সারাংশ বিলোচ্ছে 

তুমি বালুচরি সৌরবোধে কফির চুমুকে রাখো থেরাপিক সভ্যতার জৌলুস।

এক একদিন অলকানন্দা বুকে জন্মানো আকাশ;ব্যাকুল গোলাম আলী।

লাল কালো ইমোশন বৈকুন্ঠের চিরাগ,

পবিত্র শীতপ্রহর চোখ ঝুঁকে দ্যাখো মহাজগত।

নীলগাইয়ের কপালে চাঁদ ফোটে,

ক্ষমাসুন্দর প্রান্তর খুলে দেয় নিবিড় 

দ্রিমি দ্রিমি বালুকণা জাগা চরে ঝাউমন নির্বাণ মেখে মেঘের ঘোড়সওয়ারী।

তবুও হীনতল ছুঁয়ে বাঁচার মাগধী উল্লাসে যে থালা সাজাইনি।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ